ভাসানচর থেকে সন্ধ্যার পর আর মূল ভূখণ্ডে কোন নৌযান চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাসানচর থেকে সন্ধ্যার পর আর মূল ভূখণ্ডে কোনো নৌযান চলবে না। সন্ধ্যার পর ভাসানচর থেকে নোয়াখালী কিংবা হাতিয়ায় যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এসব এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে এপিবিএন, কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল কলেন, ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল আরও বৃদ্ধি করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনবাহিনী, বিজিবি, র্যাব রয়েছে। তারা সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ও থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক প্রবেশ, মাদক ব্যবস্থা ও বিক্রয় রোধে মনিটরিং বাড়ানো হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে, আরও হবে। কিছুদিনের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজও শুরু হবে। কোনো কোনো জায়গায় অনেকখানি হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কাজ করছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের সুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা অব্যাহত থাকবে। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা চলছে। দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তা আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে টহল আরও বাড়ানো হবে। নাফ নদীতে আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর তদরকি আরও জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে উখিয়া ও টেকনাফে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে