ইকুয়েডরের একটি কারাগার থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব প্রিজন্স (এসএনএআই) কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় শনিবার ( ২৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ওই কারাগারে গত মাসে দাঙ্গায় ১১৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ওই দাঙ্গায় আহত হন আরও অনেক বন্দি। একই কারাগার থেকে এখন ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
এসএনএআই কর্তৃপক্ষ টুইটারে বিষয়টি জানালেও বিস্তারিত কোনো বর্ণনা দেয়নি। জানা গেছে, দেশটির উপকূলীয় শহর গুয়াইয়াকিলের লিতোরাল পেনিতেনশিয়ারি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়, যেটি ইকুয়েডরের সবচেয়ে বেশি সহিংস কারাগারে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি কারাগার থেকে আরও চার কারাবন্দির লাশ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, আত্মহত্যা করে ওই কয়েদিরা। কিন্তু সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সেই ঘটনারও তদন্ত চলছে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো কারাগারগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত মাসে দাঙ্গার পরপরই জরুরি অবস্থা জারি করেন। দেশটির কারাগারগুলোতে সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনীও কাজ করছে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, অপরাধী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে কারাবন্দিদের এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে মূলত তাদের দ্বন্দ্ব হয়। তবে ওই কারাগারের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। জানা গেছে, ইকুয়েডরের কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৩৯ হাজার।
সূত্র: রয়টার্স
নদী বন্দর / বিএফ