ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ অন্য যে কোনো কৌশলগত অংশীদারদের চেয়ে গভীরতর এবং দুই প্রতিবেশী দেশের জন্য একটি ‘রোল মডেল’। সমকালীন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা শনিবার ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ১৯৭১ সালের যুদ্ধে মানবিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক নিয়ে ‘স্বরনিম বিজয় বর্ষ কনক্লেভ: ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব, বোঝাপাড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনা অব্যাহত থেকে এই সম্পর্ক আরও বিভিন্ন দিকে প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশ একটি ‘সোনালী অধ্যায়’ বা স্বর্ণযুগের অংশীদার হয়েছে।
শ্রিংলা বলেন, ‘এই অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উভয় দেশের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যহত রাখতে হবে, যা তৈরি হয়েছিল ৫০ বছর আগে।
শ্রিংলা বলেন, এই বছরটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, এই বছরটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ বিভিন্নভাবে সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা, যা নির্ধারিত হয়েছিল ৫০ বছর আগে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন।
নদী বন্দর / বিএফ