1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছিরা - Nadibandar.com
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চব্বিশের অভ্যুত্থানে অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল ছাত্রশিবির: সারজিস আলম ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সহজ হবে: খাদ্য উপদেষ্টা পুতিন আমার ‘সবচেয়ে কাছের বন্ধু’: কিম ভারতীয় হাইকমিশনে মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ৪ জনের আগত ছাত্র-জনতার প্রতি ৭ নির্দেশনা জাতীয় নাগরিক কমিটির সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে না থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস বন্ধে থাকবে মোবাইল কোর্ট সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঝড়, বড় স্কোর তাড়া করে শুভ সূচনা বরিশালের
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৩০ বার পঠিত

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামে এক সময় খেজুর গাছে ভরপুর ছিল। শীত আসলেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গাছিরা। বিকেল হলেই গাছে হাঁড়ি বসাতেন আবার সকাল হলে রস সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে আসতেন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলতো গুড় আর পাটালি তৈরির কাজ। খেজুরের গুড় আর পাটালির মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াতো। কেউ কেউ রস বিক্রি করতেন আবার কেউ স্বজনদের বাড়িতেও পাঠাতেন। কালের বিবর্তনে এসব এখন ইতিহাসের পাতায় জড়ো হচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে গাছ।

তবে গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা দুটি খেজুর বাগান বদলে দিয়েছে জেলার চিত্র। প্রতিবছর শীতে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়। রস ও গুড় কিনতে বাগানে ভিড় করেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। শীতের প্রতিটি সকালেই এই বাগান গুলোতে লেগে থাকে রসমেলা উৎসব।

প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হচ্ছে প্রকৃতি। একই সঙ্গে খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুত হতে দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের গাছিদেরও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের উদ্যোগে সদর উপজেলার নারগুনে ৫০০টি ছোটো বড় খেজুরের গাছ নিয়ে গড়ে ওঠে একটি বাগান। গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যায় বাগানটি। এর পর থেকে রস ও গুড় সংগ্রহে প্রতিদিন সকালে শহরের বাসিন্দারা ভিড় করতে থাকেন বাগানে।

এবছরও সেই আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে বাগানটিতে। রস সংগ্রহের জন্য এখন গাছকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। সপ্তাখানেকের মধ্যেই রস সংগ্রহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গাছিরা।

এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বটচুনা গ্রামে বেশ কয়জনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে আরেকটি খেজুরের বাগান। দুবছর ধরে তারা বাণিজ্যিকভাবে খেজুরের রস থেকে গুড় উৎপাদন শুরু করেছে। প্রত্যন্ত গ্রামটিতে গড়ে ওঠা বাগানটি এখন সেই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নায়নের কাণ্ডারি বলে জানান এলাকাবাসী।

 

তাদের অনুসরণ করে জেলার অনেকেই আগ্রহী হয়ে খেজুরের বাগান করতে চাইছে। উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পরামর্শ নিতে আসছেন বলে জানান বাগান মালিক সোহেল রানা।

তিনি বলেন, ২০ দিন হয়েছে কাজ শুরু করেছি। গাছের ময়লা ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ধারালো দা (গাছিদা) দিয়ে খেজুর গাছের সোনালী অংশ বের করে (যাকে বলে চাঁচ দেওয়া) নোলন স্থাপনের কাজও শেষ। কিছুদিন পরই গাছে লাগানো হবে মাটির পাতিল। এরপরই শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস সংগ্রহের কাজ। তা দিয়ে তৈরি হবে গুড় ও পাটালি।

সোহেল রানা আরও বলেন, গাছ একবার ছাঁটলে তিন-চার দিন রস সংগ্রহ করা যায় এবং পরবর্তীতে তিন দিন শুকাতে হয়। এভাবে কাটলে গাছের রস সুমিষ্ট হয়। রস সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। রস সংগ্রহের পর হাড়ি পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হয় অথবা আগুনে ছেকে নিতে হয়। এতে সংগৃহীত রসে গাঁজন বন্ধ হয়।

ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি (দড়ি) বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহের কাজ করেন গাছিরা। প্রতিদিন বিকেলে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বাঁধা হয়, আর সকালে রস সংগ্রহ করা হয়। কেউ কেউ কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাটে-বাজারে খাওয়ার জন্য বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ সকালেই এই রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করেন।

এ বিষয়ে বটচুনার গাছি তালেব বলেন, বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের দেশে খেজুর গাছ থাকবে না। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিত তালগাছের মতো বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন সহকারে বড় করা।

নতুন করে কেউ খেজুরের বাগান করতে চাইলে বা খেজুরের গাছ রোপণে যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এ জেলায় খেজুরের গাছ রোপণের ক্ষেত্রে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায় না। সবাই আম, কাঁঠাল আর লিচু নিয়েই ব্যস্ত। সব গাছেরই প্রয়োজন আছে। খেজুর বাগান উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানাই। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারবেন তারা।

নদী বন্দর / পিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com