শান্তির প্রতীক পায়রা। একসময় বার্তাবাহক হিসেবেও ব্যবহার হতো। এখন অনেক মানুষের জীবন-জীবিকার উৎস। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মাগুরার শৌখিন কবুতর ব্যবসায়ীরা।
জ্যোকোবিন, ম্যাগপাই পোটার, বিউটি, লোটন, রেন্ট, হেলমেট, পেখম মেলা, গিরিবাজ, ময়ূরপঙ্খী, সিরাজী নামের নানা জাতের শৌখিন কবুতর পালনের মাধ্যমে বেকারত্বকে হার মানিয়ে মাগুরার একদল তরুণ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে করোনার থাবায় পিছিয়ে পড়ছে তারা। এখন আশঙ্কা এ ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ার।
জেলায় শতাধিক খামারি রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখন তারা কবুতরের খাবারের জোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। সরকারি প্রণোদনা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন এমনটি মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
মাগুরার শৌখিন কবুতর ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘মাগুরা ফেন্সি পিজন এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিটো জানান, জেলায় শতাধিক খামারি রয়েছে। তাদের বেশির ভাগই তরুণ যুবক। করোনার ভয়াবহতা এবং লকডাউনে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতেন তারা আসতে পারছেন। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি আমরা।
এখন মাগুরার শৌখিন কবুতর ব্যবসায়ীদের সরকারি প্রণোদনা দিয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগ সহায়তা করবে এমনটি দাবি খামারিদের।
নদী বন্দর / সিএফ