গ্রাহক পর্যায়ে কেজিতে সাড়ে ৪ টাকা হারে বাড়িয়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসক ব্যতীত প্রতি কেজি ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা এবং মূসকসহ মূল্য হবে প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা। সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি বোতলজাতকৃত এলপিজির মুসকসহ মূল্য ১ হাজার ৩১৩ টাকা।
এ আদেশ ৪ নভেম্বর থেকে প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দামই বহাল থাকবে।
কেজিপ্রতি এলপিজির দাম নির্ধারণের পাশাপাশি সিলিন্ডারের আকার অনুযায়ীও দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বিইআরসি। বিইআরসির নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী, এখন থেকে ১২ কেজি এলজিজির সিলিন্ডার বিক্রি হবে ১ হাজার ৩১৩ টাকায়।
১২ কেজির পাশাপাশি সাড়ে ৫ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি, ১৫ কেজি, ১৬ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৩ কেজি, ৩৫ কেজি ও ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দামও নির্ধারিত হয়েছে।
এখন থেকে সাড়ে ৫ কেজি ৬০২ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ১ হাজার ৩৬৮ টাকা, ১৫ কেজি ১ হাজার ৬৪১ টাকা, ১৬ কেজি ১ হাজার ৭৫১ টাকা, ১৮ কেজি ১ হাজার ৯৭০ টাকা, ২০ কেজি ২ হাজার ১৮৮ টাকা, ২২ কেজি ২ হাজার ৪০৭ টাকা, ২৫ কেজি ২ হাজার ৭৩৫ টাকা, ৩০ কেজি ৩ হাজার ২৮৩ টাকা, ৩৩ কেজি ৩ হাজার ৬১১ টাকা, ৩৫ কেজি ৩ হাজার ৮২৯ টাকা ও ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৪ হাজার ৯২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরমকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ সংক্রান্ত সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয় ২ নভেম্বর। আর ৩ নভেম্বর বিসিআরসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এলপিজির পাশাপাশি রেটিকুলেটেড এবং যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে সরবরাহ করা এলপিজির দাম ভোক্তাপর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ৯৯ টাকা ৩৭ পয়সা এবং মূসকসহ প্রতি কেজি ১০৬ টাকা ১৯ পয়সা ঠিক করা হয়েছে। অক্টোবরে এ গ্যাসের দাম মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ছিল ৯৫ টাকা ১৭ পয়সা এবং মূসকসহ প্রতি কেজি ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা।
আর যানবাহানে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের মূসক ছাড়া দাম প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৬১ পয়সা এবং মূসকসহ ৬১ টাকা ১৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অক্টোবরে এই গ্যাসের দাম মূসক ছাড়া প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ২৭ পয়সা এবং মূসকসহ ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল।
এর আগে মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই এলপিজির দাম বাড়ায় সরকার।
গত ১০ অক্টোবর এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল মূসকসহ ১২ কেজি এলপিজির দাম এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা করার কথা জানান।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৮৯১ থেকে ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা করা হয়। আগস্ট মাস থেকে এই দাম কার্যকর হয়।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিবারই জানায় বিইআরসি।
নদী বন্দর / সিএফ