জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সারাদেশে বাস, ট্রাক ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এবার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারগুলোর। তেলের দাম না কমালে ট্রলার নিয়ে আর সাগরে যাবে না বরগুনার ট্রলারগুলো। এমনটাই জানিয়েছেন পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলে-ট্রলার মালিকরা।
সমুদ্রগামী ট্রলারের জেলে-মালিকরা জানান, এমনিতেই সাগরে মাছ নেই, তার ওপর আবার তেলের দাম বেড়েছে। এমন অবস্থায় আমাদের সাগরে ট্রলার পাঠানো সম্ভব না। শনিবার থেকে পাথরঘাটা থেকে কোনো ট্রলার ছাড়েনি। সাগরে থাকা ট্রলারগুলো ফিরে আসার পর তারাও আর পুনরায় সাগরে যেতে পারবে না। কারণ যেখানে সাগরে মাছ নেই সেখানে বেশি দামে তেল কিনে লোকসান সম্ভব না।
এফবি আমানত শাহ ট্রলারের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকার জেলেদের কথা না ভেবেই ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। সাগরে মাছ থাকলেও সমন্বয় করা যেত। কিন্তু সাগরেও চলছে খরা। এই অবস্থায় এত দামে তেল কিনে আমাদের পোষাবে না। দাম না কমালে সাগরে ট্রলার পাঠাতে পারব না।
এফবি আরিফ ট্রলারের মালিক সোবাহান হাওলাদার বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় গোটা দেশ অচল হয়ে গেছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, তার ওপর আবার ডিজেলের দাম বৃদ্ধি। আমাদের এবার পথে বসতে হবে।
সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে কলিম বেপারী জানান, ইলিশ ধরি আমরা, আর সুনাম হয় সরকারের। তবুও আমাদের নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তাদের। এখন আবার ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। আমরা আর মাছ ধরতে যেতে পারব না। দরকার হয় জেলে পেশাই ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করব।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আমাদের বাস ট্রাকের মতো ধর্মঘট ডাকার প্রয়োজন নেই, এমনিতেই আমাদের জেলেরা আর সাগরে যেতে পারবে না। কারণ এত দাম দিয়ে তেল কিনে সাগরে গেলে আমাদের লোকসান হবে। তার ওপর কাঙ্ক্ষিত মাছ নেই সাগরে, বেশিরভাগ ট্রলারই ঘাটে আছে। বাকি ট্রলাটগুলোও ২-১ দিনের মধ্যে ঘাটে ফিরবে। ফেরার পর তারা আর সাগরে যেতে পারবে না। অনেকেই এরই মধ্যে বিকল্প পেশা খুঁজছে।
নদী বন্দর / পিকে