শীত আসতেই সাইনাসের সমস্যা বেড়ে যায়। বায়ু দূষণ, ঋতু পরিবর্তন, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে সাইনাসের সমস্যা হতে পারে। যারা সাইনাসের সমস্যায় ভোগেন তারাই জানেন এটি কতটা কষ্টকর। হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও তীব্র মাথা ব্যথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় সাইনাস সংক্রমণের ফলে।
সাইনাস হলো মাথার এমন একটি অংশ, যার কাজ নাকের ভিতর দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্য করা। কোনো কারণে সাইনসের ভেতরে সংক্রমণ হলে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন তীব্র মাথাব্যথা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তীব্র শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়।
প্রাথমিক অবস্থায় এই সংক্রমণ শনাক্ত না হওয়ায় একসময় তা মাত্রারিকক্ত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবাই সাধারণ মাথাব্যথা বা সর্দি ভেবে গুরুতর সাইনাসের সমস্যাকে অবহেলা করেন।
তবে সাইনাসের সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়েও এ সমস্যা সারানোর চেষ্টা করতে পারেন। এজন্য অনুসরণ করুন ৫ উপায়। জেনে নিন সাইনাসের সমস্যা কমাতে কী কী করবেন-
>> সাইনাসের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার হলো গরম তরল খাবার। এতে নাসারন্ধ্রে জমে থাকা মিউকাস অনেক তরল হয়ে যায়। ফলে কপালে চাপ ধরে থাকা ব্যথা সহজেই দূর হয়।
>> হালকা গরম পানি হাতের তালুতে নিয়ে নাক দিয়ে নিয়ে টানতে পারেন। প্রাথমিকভাবে নাকের ভেতরে অস্বস্তি ও জ্বালা হতে পারে। এতে নাকের ভেতরে জমে থাকা ময়লা সহজেই পরিষ্কার করে দেয়।
সাইনাসের ভেতরে সংক্রমণ হলে, সেটি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার করে এই উপায় অনুসরণ করলে কমে যেতে পারে সাইনাসের সমস্যা।
>> সাইনাসের সমস্যা অনেকটাই কমে যায় অতিরিক্ত পানি খেলে। বেশি করে পানি খেয়ে সাইনাসে জমা ময়লা শরীর থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বের হয়ে যায়। তাতে নাক পরিষ্কার হয় দ্রুত ও ব্যথা কমে। বেশি করে তরল খাবার খেলেও সাইনাসের সমস্যা কমে।
>> সাইনাসের সমস্যা কমাতে খেতে পারেন একটি বিশেষ পানীয়। এজন্য লাগবে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার, অল্প আদা কুচি, লেবু, সামান্য গোলমরিচ, হলুদ আধা চা চামচ, ৩-৪ কোয়া রসুন। এগুলো একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে নিন।
মিশ্রণটি চায়ের মতো চুমুক দিয়ে খান। এতেও সাইনাসের ব্যথা কমবে। চাইলে এ মিশ্রণে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে আরও ভালোভাবে কাজ করবে পানীয়টি।
>> সর্দি-কাশি সারাতে অনেকেই গরম ভাঁপ নেন। এ সময় গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাসের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এতেও সাইনাসের ব্যথা দ্রুত কমবে।
সূত্র: হেলথলাইন
নদী বন্দর / পিকে