বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (১০ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে গত ২৫ জুলাই থেকে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সারাদেশে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে খাদ্যশস্য বিতরণ চলমান। এ কারণে ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রমে ক্রেতার উপস্থিতি ক্রমশ কমছে। এবং চাল বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না মর্মে বিভিন্ন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাতে খাদ্য অধিদপ্তর চলমান ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রম বন্ধের জন্য অনুরোধ করে।
এমতাবস্থায় বিষয়টি বিবেচনা করে ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রম আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে শুধু ওএমএসের কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।
সারাদেশে এক হাজার ৫৯টি দোকান ডিলার ও ট্রাকে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রির মাধ্যমে বিশেষ ওএমএসের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এক্ষেত্রেও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা।
নদী বন্দর / জিকে