ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের উসকানি না দিতে দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘বিদ্রোহীদের সবার তালিকা তৈরি হচ্ছে, সময়মতো কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জোনের অধীনে ছয়টি জেলা সড়ক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর চট্টগ্রামকে পর্যায়ক্রমে সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, এর সবগুলোর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বদলে যাবে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও বদলে যাবে। চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনকে ঘিরে দেশের যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির ধারা, তা আরও বেগবান হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারগঞ্জ হতে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। কক্সবাজার লিংক রোড-লাবনী পয়েন্টে চার লেনের কাজ শেষপর্যায়ে। আসন্ন পর্যটন মৌসুমের আগেই এ মহাসড়ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’
আগামী বছর দেশের চারটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতুতে কার্পেটিং শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই টানেলের ৭৪ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।’
যারা উন্নয়ন ও নির্বাচনবিমুখ এবং আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ, তারা সরকারের অন্ধ সমালোচনাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে যারা কিছু উপহার দিতে পারেনি, আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।’
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রান্তে সংসদ সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী যুক্ত ছিলেন।
নদী বন্দর / সিএফ