সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিলেন সেই দুই মৃত ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তকিপুর হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তারা ভোট দেন।
তবে ভোটের দিনও তাদের পড়তে হলো দুই ঘণ্টার চরম ভোগান্তিতে। ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ভোট প্রদানে বাধা দেন। পরে ছাতক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের সংশোধনী কাগজপত্র দায়িত্বে তাকা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পর তারা ভোট দিতে পারেন।
ভোটার তালিকায় ‘মৃত‘ দেখানো ওই দুই ব্যক্তি হলেন- ছাতক উপজেলার দিঘলী ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মো. কমর আলী (৪৩) ও তার চাচাতো ভাই আলী আহমদ (৩৯)। তারা একই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে নিবার্চন করছেন। তার মধ্যে ‘মৃত’ কমর আলী (তালা) আর তার চাচাত ভাই আলী আহমদ (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে ওই দুই ব্যক্তি জানান, জয় পরাজয় নিয়েই নির্বাচন। ফলাফল যাই হোক না কেন হাসিমুখে মেনে নেবেন।
প্রার্থী কমর আলী বলেন, আজ বেঁচে থেকেও আমরা মৃত। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পড়লাম এক বিড়ম্বনায়। আজ ভোট দিতে এসে পড়লাম দুই ঘণ্টার বিড়ম্বনায়। তারপরও শান্তি লাগছে ভোট দিতে পেরে। সবার কাছে একটাই অনুরোধ যেই নির্বাচিত হোক না কেন আমরা যেন আমাদের ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ডে রূপান্তিত করতে পারি।
আরেক প্রার্থী আলী আহমদ (ফুটবল) বলেন, তালিকায় আমি মৃত হয়েও আজ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিছু করার নেই। তবে যারা আমাদের জীবিত থাকতেও মৃত বানিয়েছে তাদের যেন খুঁজে বের করা হয়। আর জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
তকিপুর হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিসাইডিং কর্মকর্তা দুলাল মিয়া বলেন, ভোটার তালিকায় থাকা দুই মৃত ব্যক্তি প্রার্থী হয়েছেন। তারা যখন ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করতে আসেন তখন ভোটার তালিকায় তাদের নাম না থাকায় আমরা বিড়ম্বনায় পড়ি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের সংশোধনী কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলে আমরা তাদের ভোট দিতে দিই।
আজ ছাতক উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
নদী বন্দর / বিএফ