পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমার মনে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, সুন্দরবনটা নোয়াখালী পর্যন্ত গিয়েই কেন শেষ হয়ে গেল। কক্সবাজার পর্যন্ত নাই কেন। আসলে কক্সবাজার থেকে খেয়ে খেয়ে এটাকে নোয়াখালী পর্যন্ত নিয়ে ঠেকানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন খাওয়ার দোষ কারও ওপর দিয়ে লাভ নেই। কারণ, যারা খেয়েছে প্রয়োজনে খেয়েছে। এখনও খাচ্ছে। মায়ের দুধ খেয়ে আমরা বাঁচি। মায়ের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি যেমন মাকেও সুরক্ষা দিতে হবে, তেমনি দেশকেও রক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সেভ আওয়ার সি, বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে ব্লু ইকোনমিক: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্পর্কে আমরা কতোজন জানি। অথচ এটা আমাদের নিজস্ব একটি সাগর। সুন্দরবন সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ কতোটুকু জানেন। রয়েল বেঙ্গল টাইগার আমাদের জাতীয় সম্পদ। এসব আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আমরা তো এতো ধনী দেশ নই। তবুও দুই হাত ভরে টাকা দিচ্ছি, কিন্তু আমাদের গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা পাচ্ছি না। মৌলিক গবেষণায় আমাদের অবদান এতো কম কেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রধানের পরিবেশ রক্ষায় আগ্রহ আছে। যদিও আমাদের সক্ষমতা কম। কিন্তু আমাদের সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষকেও পরিবেশ রক্ষার প্রতি উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। অতীতের যে কোনো সরকারের তুলনায় আমাদের সরকার অনেক ভালো কিছু করছে। কারণ এই সরকারের একটা মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার এমন একটি রাজনৈতিক আদর্শের দলের সরকার, যার গোটা অস্তিত্বটাই মাটির সঙ্গে মিশে আছে। এই মাটিকে মুক্ত করে ফিরে আনার জন্যই এই দলের জন্ম।
বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তুস কুমার দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কেএম আজমে চৌধুরী।
আরও বক্তব্য করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্ট্যাটিজিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রধান কমোডর ওয়াহিদ হাসান, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক ড. মরিয়ম আকতার, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উপ-পরিচালক (অপারেশন) এম নূর-উজ জামান প্রমুখ।
নদী বন্দর / বিএফ