আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি কলেজ ছুটি দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর আয়োজনে নির্বাচনী সভা শেষে ভুরিভোজ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। গোসাইবাড়ী ডিগ্রি কলেজে এই আয়োজন হয়।
রোববার সকালের দিকে উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান নান্টু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষে এসব করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠাদানে কোনো সমস্যা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাসছুল বারী সেখ। তার সমর্থনে শনিবার সকাল থেকে গোসাইবাড়ী ডিগ্রি কলেজে নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্লাস করতে এসে মঞ্চ দেখে কেউ কেউ ফিরে যায়। এ কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম ছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের আগমনে ক্লাসেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় সেখানে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করায় শব্দদূষণে পাঠদান ব্যাহত হয়।
এদিকে মঞ্চে দলীয় নেতাকর্মীর আগমন, মাইক, জেনারেটরের শব্দ, কলেজের বারান্দায় রান্নার আয়োজনে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ক্লাস শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১২টায় ছুটি দেয়া হয়।
নির্বাচনী ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআই নুরুন্নবী তারিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন, নৌকার প্রার্থী সামছুল বারীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে সেখানে ভুরিভোজ করা হয়।
কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় ক্লাস ছিল। লোক সমাবেশ, জেনারেটর এবং মাইকের শব্দে শিক্ষকের কোনো কথাই শুনতে পাইনি। শব্দ দূষণের কারণে স্যারও চুপ করে বসেছিলেন।
এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ক্লাস ছিল। সমাবেশের কারণে ছুটি দেয়া হয়।
গোসাইবাড়ী ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুর রশীদ জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা ফোন দিয়েছিলেন। আর শিক্ষার্থীদের পাঠাদান শেষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুল বারী সেখ বলেন, আমি নৌকার প্রার্থী। দলের পক্ষ থেকে এসব আয়োজন করা হয়। নেতারা এ বিষয়ে জানেন।
নদী বন্দর / সিএফ