সিলেটে অপারেশনের (সিজার) মাধ্যমে দুটি বাচ্চা প্রসব করেছে মা ছাগল। রোববার (১৪ নভেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমএসি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের এ সিজার করা হয়। বর্তমানে মা ছাগল ও তার দুটি ছানা সুস্থ রয়েছে।
জানা গেছে, দুপুরে সিকৃবির সার্জারি অ্যান্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিমেষ চন্দ্র রায়ের তত্ত্বাবধানে এ সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
সন্ধ্যায় অধ্যাপক ডা. অনিমেষ চন্দ্র রায় জানান, ওই ছাগলটি সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিম হাটখোলা এলাকার এক ব্যক্তির। শনিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে ছাগলের প্রসব ব্যথা ওঠলেও স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব হচ্ছিল না। এ অবস্থায় তিনি প্রথমে ছাগলটিকে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গালস্থ সরকারি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের দায়িত্বরত প্রাণী চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব করাতে পারেননি। পরে রোববার ওই ব্যক্তি ছাগলটিকে সিকৃবির পিএমএসি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অধ্যাপক ড. অনিমেষ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রথমে ছাগলটি পর্যবেক্ষণ করি এবং তার অবস্থা সুবিধাজনক নয় বুঝতে পারি। ছাগলটি দেশী প্রজাতির। কিন্তু বিদেশি প্রজাতির কোনো পুরুষ ছাগল দিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গম করানো হয়। যার ফলে তার পেটে বিদেশি বড় জাতের বাচ্চার জন্ম হয়। এছাড়া ছাগলটির পশ্চাৎদেশ আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। তাই স্বাভাবিক প্রসব হয়নি।
পরে রোববার দুপুরে সিজারের মাধ্যমে ওই ছাগলের দুটি বাচ্চা প্রসব করাই। বর্তমানে মা ছাগল ও ছাগলছানা দুটি ভালো রয়েছে। আমরা ছাগলকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মালিককে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।’
ডা. অনিমেষ আরও জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমএসি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে মাঝে-মধ্যে ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে থাকা গর্ভবতী গাভী ও মা ছাগলের সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার হয় এখানে।
নদী বন্দর / এমকে