বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পরাজিত মেম্বারপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় মোকলেচ মিয়া নামের বিজয়ী প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মোকলেচ মিয়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি ভ্যানচালক ছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) পদে বিজয়ী প্রার্থী মো. শামীম মিয়া লিকচানের সমর্থক মোকলেচ মিয়া।
নিহতের স্বজনরা জানান, দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোকলেচ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) পদে মো. শামীম মিয়া লিকচানের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনের আগে শামীম মিয়ার হয়ে মোকলেচ মিয়া প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইউনুস মিয়া।
তারা বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ইউনুস মিয়া ও তার কর্মী-সমর্থকরা হুমকি দিয়ে আসছিলেন মোকলেচ মিয়াকে। ১৩ নভেম্বর সকালে খাজুরিয়া গ্রামে পরাজিত ইউনুস মিয়ার কর্মী-সমর্থকরা মোকলেচ মিয়ার ওপর হামলা করেন। লাঠিসোটা দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। মাথায় লাঠির আঘাত লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পরেন মোকলেচ মিয়া। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত প্রার্থী ইউনুস মিয়া জানান, হামলার ঘটনা আমার জানা নেই। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শামীম মিয়া মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ নভেম্বর রাতে হামলার সঙ্গে জড়িত তানভীর ইসলাম রাসেল, এনামুল হাওলাদার ও রফিক ফকিরকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে