শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কর্তারপুর করিডোর খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ নভেম্বর শিখদের পবিত্র উৎসব গুরুপুরব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই কর্তারপুর সাহিব করিডোর খুলে দেওয়া হলো। এরই মধ্যে ভারতের বহু শিখ ধর্মাবলম্বী পাকিস্তানে পৌঁছেছেন।
কর্তারপুর করিডোর দিয়েই পাকিস্তানের দরবার সাহিব কর্তারপুর যেতে হয়। শিখ সম্প্রদায় যেন তাদের উৎসবে অংশ নিতে পারেন সেজন্য বুধবারই এই করিডোর খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীর আগেই দর্শনার্থীদের জন্য এই করিডোর উন্মুক্ত হলো। ১৫৩৯ সালে পাকিস্তানে মারা যান গুরু নানক।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নি, তার আগের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু কেন্দ্রীয় সরকারকে গুরুপুরবের আগে এই করিডোর পুনরায় খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। পরবর্তীতে সবকিছু বিবেচনা করে সীমান্ত দিয়ে চলাচল করার সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত।
মাত্র ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) রাস্তা হয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যান শিখ তীর্থযাত্রীরা। তবে এজন্য তাদের ভিসা লাগে না। এর আগে ২০১৯ সালে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবার ওই করিডোর খুলে দেওয়া হয়। তবে গত বছর করোনা মহামারির কারণে কর্তারপুর করিডোর বন্ধ রাখা হয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে শিখরা একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। যদিও তাদের অনেক ধর্মীয় স্থান সেখানে রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় কর্তারপুর করিডোর খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত, যার ফলে বিরাট সংখ্যক শিখ তীর্থযাত্রীরা উপকৃত হবেন।
কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই তীর্থে যেতে পারছেন শিখরা। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও। এছাড়াও টিকার দুই ডোজ এবং কর্তারপুরে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক।
নদী বন্দর / সিএফ