বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে কোনো সতর্ক সংকেত জারি করেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে বলে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে।
গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার এক বুলেটিনে জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিতে এগিয়ে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল নাগাদ চেন্নাই ও পুদুচেরির মধ্য দিয়ে উত্তর তামিলনাড়ু ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ অতিক্রম করতে পারে।
এটি নিম্নচাপ হিসেবেই উপকূল অতিক্রম করতে পারে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
নদী বন্দর / সিএফ