সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদেশের সব গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অর্ধেক ভাড়ার প্রজ্ঞাপন এবং ছাত্রী ও নারীদের জন্য অবাধ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজধানীর বকশিবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় নিজেকে সাত কলেজ আন্দোলনের ‘প্রধান সমন্বয়ক’ দাবি করে ইসমাঈল সম্রাট নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদেশের সব গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা হোক। গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনগুলোতে ছাত্রী ও নারীরা নানা হয়রানির শিকার হয়। এসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তাদের জন্য অবাধ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী নিলয় বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি মানা হচ্ছে না। আমাদের দাবি মেনে নেন, নয়তো আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
দীপু নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্র এবং শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝগড়া করছে। হাফ ভাড়া নিয়ে এসব ঝগড়া চাই না। এরকম ঝগড়া করে চলতে চাই না। সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে দাবি বাস্তবায়ন করুন।
তিনি বলেন, এখন শিক্ষার্থীরা যে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা মূলত বাস ভাড়া নিয়ে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত বাস ভাড়া অর্ধেক করার দাবি জানাই।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এক কলেজের শিক্ষার্থী হাফ পাস পাবে আরেক কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে না, এটা হতে পারে না। আমরা সবাই শিক্ষার্থী। তাই প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জানাই।
সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদেশের সব গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা এবং ছাত্রী ও নারীদের জন্য নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে দুটি দাবি জানান তারা।
এ সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে ২৫ তারিখ সকালে আবার নীলক্ষেতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
পরে অবস্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে গিয়ে আবারও সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
নদী বন্দর / এমকে