গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি প্রদেশে বাস্তুচ্যুত নিরীহ মানুষের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। এক সামরিক মুখপাত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব দ্য কঙ্গোর (কোডেকো) বিদ্রোহীরা রোববার রাতে ড্রোড্রো গ্রাম ঘিরে ফেলে। হামলায় ৬ শিশু, চার পুরুষ এবং দুই নারী নিহত হয়েছে। ইতুরির সামরিক সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে বেশ কিছু গ্রুপ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। ২০১৭ সাল থেকেই ওই অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর হারিয়েছে।
বিদ্রোহীদের লক্ষ্যই ছিল বাস্তুচ্যুত লোকজনের ওপর হামলা চালানো। ইতুরির কারিটাস এলাকার ক্যাথলিক চ্যারিটির পুরোহিত এবং সমন্বয়কারী নাবু লিদজা ক্রিসান্তে জানান, তারা সহকর্মীরা ৩৫টি মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। স্থানীয় গির্জাতেও হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিভু সিকিউরিটি ট্র্যাকার জানিয়েছে, দ্রোদ্রো এবং এর আশেপাশের গ্রামগুলোতে ১০৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের মুখপাত্র মাথিয়াস গিলম্যান বলেন, হামলা থেকে পালিয়ে শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষিত একটি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন কমপক্ষে ১৬ হাজার মানুষ।
অপরদিকে কোনো বেসামরিককে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোডেকোর মুখপাত্র প্যাট্রিক বাসা। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দ্রোদ্রো এলাকায় তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে হেমা মিলিশিয়ার যোদ্ধাদের সংঘর্ষ ঘটেছে। ওই এলাকা থেকে অনেক আগেই বেসামরিক লোকজন পালিয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
লেনদু এবং হেমা সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সংঘাতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ