স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সোনার বাংলা গড়তে দেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, খাঁটি মুসলমান হতে হলে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে হবে। ব্যবসায়ী, অর্থশালী ও বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন তাদের প্রতিবেশীদের সহয়তা করে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতার সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্সকার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সহায়তা করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। আমাদের এগিয়ে যেতে অনেক কাজ করতে হবে। আপনার সম্পদে গরিবের হক আছে। আপনারা যে অর্থ কর হিসেবে দেন তা দিয়ে সরকার উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ করে। আসুন সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটু একটু করে দেশ গঠনে অংশগ্রহণ করে সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে আসি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, জরিপের মাধ্যমে করদাতা চিহ্নিত করার কাজকে সাধুবাদ জানাই। করদাতা বাড়াতে হলে সচেতনতামূলক কাজ বাড়াতে হবে পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস করা প্রয়োজন।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করদাতা পরিষ্কারভাবে দেখতে পান, কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি হয়। কেন আমি কর দেই, কর দিয়ে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর করদাতারা পেয়েছেন বলেই, তারা করদিতে উৎসাহী হন।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যক্তিপর্যায়ে করপ্রদানের সক্ষমতা বাড়ছে। সবাইকে করজালের আওতায় নিয়ে আসবো। আর তা হলে করহার কমবে। করজাল বাড়াতে এনবিআরকে ডিজিটাল ও অটোমেশন করার কাজ শুরু করা হয়েছে৷
এ বছর জাতীয় ট্যাক্সকার্ড নীতিমালা, ২০১০ এর বিধান অনুযায়ী ২০২০-২০২১ কর বছরে ব্যক্তি ৭৫ জন, কোম্পানি ৫৪টি ও অন্যান্য ১২ এই তিন ক্যাটাগরিতে যোগ্য করদাতাকে ১৪১টি ট্যাক্সকার্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী ২০২০-২০২১ করবছরে সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে মনোনীত ৫২৫ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে