বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল থেকে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
>> আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে, ঢাকার কর্মসূচি জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে;
>> ২৬ নভেম্বর সারাদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে;
>> ২৮ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে, ঢাকার কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে;
>> ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি;
>> ১ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ করবে ছাত্রদল। ঢাকার সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে;
>> ৩ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে সারাদেশে মানববন্ধন করা হবে, ঢাকার কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে;
>> ৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকাসহ সারাদেশে মৌন মিছিল করবে, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সব কর্মসূচি ম্যাডামের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। এ কর্মসূচি পরিবর্তন হতে পারে।
খালেদা জিয়া ইস্যুতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো হঠকারী কর্মসূচির মধ্যে যেতে চাই না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / এমকে