৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকায় করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২০ সালের এপ্রিলে অনুমোদন দেয়া, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পে সংশোধনী এনে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অনুমোদন দেয়া প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিলো ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সংশোধন করে ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। তবে নতুন করে বাড়ছে না প্রকল্পের মেয়াদ, আগের অনুমোদিত সময় ২০২৩ সালের জুনেই শেষ হবে প্রকল্পটি।
প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণের এই অর্থে, করোনা ভ্যাকসিন কেনার সঙ্গে সংরক্ষণ ও বিতরণও করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পের অর্থে দেশের ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিনসহ আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব স্থাপন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি দেশের ৫টি ইমিগ্রেশনে ৭টি মেডিকেল স্ক্রিনিং ইউনিট স্থাপন করা হবে।
যার মধ্যে তিনটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, চট্টগ্রামের শাহ আমানত, সিলেটের ওসমানি বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরে একটি করে ইউনিট স্থাপন করবে সরকার।
এছাড়া, ৪৩টি জেলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও ৬৪টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এপিডেমিওলজিক্যাল ইউনিট স্থাপন করা হবে।
নদী বন্দর / জিকে