মোংলা বন্দরের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর)। ১৯৫০ সালে এদিন যাত্রা শুরু করে সুন্দরবনের কোল ঘেঁসে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওটা এ বন্দর। প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পেরিয়ে ৭১ বছরে পদার্পণ সমুদ্র বন্দরটি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান মুন্সি জানান, ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সকালে বন্দর ভবন চত্বরে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ও র্যালি।
সকাল ১০টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠ, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার শুভেচ্ছা বক্তব্য, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কর্তৃক কেক কাটা, এরপর বেলা ১১টায় সর্বোচ্চ বন্দর ব্যবহারকারীদের ক্রেস্ট প্রদান, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিদায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রেস্ট প্রদান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সিবিএ নেতারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে মোংলা বন্দরের অগ্রগতি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান এবং দুপুর দেড়টায় মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল আনুষ্ঠানিকতা।
১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর চালনা বন্দর নামে মোংলায় যাত্রা শুরু করে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর বন্দরটি বিদেশি জাহাজ নোঙরের জন্য উন্মুক্ত করা হলে ব্রিটিশ বণিক জাহাজ ‘দি সিটি অব লিয়ন্স’ বন্দরে প্রথম নোঙ্গর করে।
সমুদ্রগামী জাহাজ নোঙরের ক্ষেত্রে মোংলা অধিকতর সুবিধাজনক হওয়ায় ১৯৫৪ সালে বন্দরটি চালনা থেকে মোংলায় স্থানান্তর করা হয়। তখন মোংলা বন্দর দীর্ঘদিন ধরে চালনা নামেই পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রথমে চালনা অ্যাঙ্কর, পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে চালনা পোর্ট কর্তৃপক্ষ, এবং সর্বশেষ ১৯৮৬ সাল থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
নদী বন্দর / জিকে