দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন আতঙ্কে’ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থলবন্দর দিয়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহ-ব্যবস্থাপক অসিত স্যানাল জানান, ভারত থেকে আসা আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালকরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারেন, সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন গেটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, ওমিক্রন নিয়ে হিলি চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের যাচাই-বাছাই করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন গেটে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা এরইমধ্যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্ক্যানিং করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বন্দর ও ইমিগ্রেশন এলাকায় একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়েছে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েল, বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি থেকে যেসব যাত্রী হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে বাংলদেশে আসবেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হবে। এ কারণে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ