আমাদের দেশে দিন দিন মাছ চাষির সংখ্যা বাড়ছে। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্বও দূর হচ্ছে। তাই মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। জেনে নিন এ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।
প্রথমে পুকুরে বিষটোপ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।
একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।
মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০-৩০০ পিসে কেজি হবে।
এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।