প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে ৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। ভারত থেকে বাংলাদেশে ওমিক্রন সংক্রমিত রোগী আসা ঠেকাতে ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং করোনার উপসর্গ থাকলে চেকপোস্টেই পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে চিকিৎসা ও ব্যবসায়ীক ভিসা নিয়ে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। এছাড়া কুটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা এই স্থলবন্দর ব্যবহার করতে পারছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন ভারতীয় যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।
তাই ভারতে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে আসা যাত্রীরা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ আছে কি না সেটি দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওমিক্রনের উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এজন্য চেকপোস্টে হেলথ স্ক্রিনিং বুথ করা হয়েছে। বুথে একজন মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর শরীরেই ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
চেকপোস্টের হেলথ স্ক্রিনিং বুথের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, ওইপার থেকে প্রবেশ করা মাত্র ভারতীয় যাত্রীদের কাছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাগজপত্র আছে কি না সেটি নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি কারও কোনো উপসর্গ আছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, যেসব যাত্রী ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন তাদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসা যাত্রীরা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন কি না এবং শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ আছে কি না সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে