পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আজও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টির কারণে সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রম ও কর্মজীবী মানুষ। এছাড়া জরুরি কাজে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গত দুই দিনের মতো আজও বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। আর গত তিন দিনেও সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
সোমবার সকালে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাজ ছাড়া কোনো মানুষ বাইরে বের হয়নি। অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজগুলোও বন্ধ থাকায় শ্রমজীবী মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। শহরে ব্যাটারিচালিত কিছু অটোরিকশা চললেও দুই সিটের রিকশাগুলো চলতে দেখা যাচ্ছে না।
রাজমিস্ত্রীর সহকারী সোবাহান ফকির এসেছেন সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকা থেকে, তবে তিনি কাজে এলেও আজ বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ। তিনি বলেন ‘বেইন্যাকালে (সকালে) বাড়ি দিয়া আইছি। কোনো রিকশা ভ্যান পাই নাই, ছাতি লইয়া হাইট্টা আইছি, এহন তো কোনো উপায় নাই, মনে করছিলাম বৃষ্টি কোমবে কিন্তু উল্ডা বাড়ছে। কি আর করমু অবার বাড়ি যাইতে আছি।’
পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, নিম্মচাপের প্রভাবে এ পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৮ ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
নদী বন্দর / এমকে