গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে। এই সময়ে ধানের বীজতলার সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যেতে পারে। এখন বীজতলায় বীজ বপন থেকে বিরত থাকুন। সার বা কীটনাশক দেয়াও বন্ধ রাখুন।
বীজ বপনের ১৮ থেকে ২৮ ঘণ্টা পরে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। মাটিতে পানি ধরে রাখার জন্য বীজ বপনের তৃতীয় থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পানি প্রয়োগ করতে হবে।
পঞ্চম দিন থেকে চারার উচ্চতার উপর নির্ভর করে পানির গভীরতা পর্যায়ক্রমে ১.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়াতে হবে। এরপর থেকে পানির গভীরতা ২.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে।
এই অবস্থায় বীজতলায় থ্রিপস এর আক্রমণ হতে পারে। থ্রিপস আক্রান্ত চারার পাতা একপাশ থেকে মুড়িয়ে সোজা হয়ে যায় এবং পরে শুকিয়ে যায়। তবে শতকরা ২৫ পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ম্যালাথিয়ন৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার স্প্রে করতে হবে।
বৃষ্টির আগে দিনের তাপতামত্রা সামান্য বাড়তে পারে, এটি পাতা ব্লাস্ট সংক্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমতে পারে। সেজন্য পাতা ব্লাস্টের উপদ্রব শুরু হবে, কিন্তু মহামারি আকার ধারণ করবে না।
এই অবস্থায় ৫ শতাংশ জামির জন্য নেটিভো ৬ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ভালো। এটি চারা ধসা রোগের সম্ভবনা কমিয়ে দেবে। যদি বীজতলা পানিতে ডুবে যায়, বীজতলা ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগ দেখা দিতে পারে।
সেক্ষেত্রে চারা একটু সোজা হয়ে উঠলে ৬০ গ্রাম পটাশ সার ও ২০ গ্রাম জিংক সার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রায় ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। এবং বীজতলা শুকিয়ে দিতে হবে।
নদী বন্দর / সিএফ