বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণ বেরিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আরও বেরিয়ে আসবে। এর মধ্য দিয়ে নিঃসন্দেহে আমরা একটি আন্দোলন করতে পারবো। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নয়, আন্দোলন হবে জাতির মুক্তির জন্যও। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আর সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে একটি দুর্বার আন্দোলন গড়তে হবে। যার মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট, ভয়াবহ ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে পারবো। তাদের আমরা বাধ্য করবো, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার চিকিৎসা ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে।’
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ৭১ থেকে দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্তের অংশ। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার বিদেশ যেতে দিতে চাচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর বিলম্ব নয়, জনগণ বেরিয়ে আসছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে। আজকের আন্দোলন শুধু খালেদার মুক্তির জন্য নয়, জাতির মুক্তির আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, গণশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বক্তব্য দেন।