নেত্রকোনার মদনে বাসের চাপায় রিয়াদ হোসেন (২০) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি উপজেলার চাঁনগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। নিহত রিয়াদ হোসেন উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাজু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে মদন পৌরসভার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা। এতে সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে পরবর্তীতে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন পরীক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের নিয়ে বিকেলে তার কার্যালয়ে কথা বলার আশ্বাস দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রিয়াদ হোসেন চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার রাত ৮ টার দিকে রূপক নামের এক বন্ধুকে নিজের মোটরসাইকেল করে বাড়ি পৌঁছে দিতে যায় রিয়াদ।
মদন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে গেলে ঐশী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস পেছন দিক থেকে তাদের চাপা দেয়। এতে রিয়াদ হোসেন ও রূপক দুজনই গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যান। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতেই সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ বলেন, বাসচাপায় রিয়াদ নামের ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলবো আশ্বাস দিয়েছি। বর্তমানে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
নদী বন্দর / সিএফ