লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ৮৯৩নং মেইন পিলারের ৭ এস এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে একটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে ককটেল বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই নারী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিঙ্গীমারী পকেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও রেনু বেওয়া (৫৫)। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিএসএফের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সিঙ্গীমারী ক্যাম্পের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৪৭ বিএসএফর ফুলবাড়ী ক্যাম্পের একটি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা ওই এলাকায় নুরল হক পরীর ছেলে আয়নাল হকের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির দরজা ও ঘরের বেড়া ভাঙচুর করে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে পালাতে গেলে আয়নাল হকের মা মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও শাশুড়ি রেনু বেওয়া (৫৫) আহত হন।
নুরল হক পরী (৬০) বলেন, ভারতীয় তিন বিএসএফ সদস্য মাতাল অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাংলাদেশিরা তাদের ধাওয়া করলে তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়।
৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সিঙ্গীমারী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মফিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার বিএসএফকে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছি।
৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান মো. শাহরিয়ার মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে বুধবার সকালে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
নদী বন্দর / এমকে