পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। সূর্যোদয় ও সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করেতে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে মানুষের ভিড় জমে সেখানে। দিনভর আনন্দে মেতে ওঠেন তারা।
সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নানা বয়সের মানুষ। সৈকতে বালু নিয়ে খেলা করতে দেখা গেছে শিশুদের। অন্যদিক বড়রা গভীর সমুদ্রে গোসলে মেতেছেন। কেউ কেউ ছাতার নিচে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য।
এদিকে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশের অনুরোধ করা হলেও দু-একজনের মুখে মাস্ক দেখো গেছে।
রাজশাহী থেকে আসা মুরাদ জানান, তিনদিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য এ ট্যুর। ওরা বেশ এনজয় করছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সালমা আক্তার জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম। বাবা-মা ছাতার নিচে বসে আছেন। আমরা ছবি তুলেছি, বাচ্চারা খেলা করছে। আগের থেকে কুয়াকাটার পরিবেশটাও অনেক সুন্দর হয়েছে।
টানা তিনদিনের ছুটির অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে কুয়াকাটার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলগুলো। বেশি পর্যটকের উপস্থিতির কারণে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, বিজয় দিবসে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। এরমধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ, হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশন, খাবার হোটেলসহ সব পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারেন। এ জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার একটি টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল খালেক জানান, তিনদিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে বারবার মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে