বিএনপির বিজয় দিবসের র্যালিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা ভারাক্রান্ত মনে বিজয় শোভাযাত্রা করছি। যখন একাত্তরের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দেশের সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। একাত্তরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। এরা আমাদের ভোটাধিকার, বলার-লেখার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় র্যালির উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশরক্ষায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে সূচনা হয়েছিল সেসবই ধ্বংস করেছে এই সরকার। এই র্যালি দেশের মানুষের নতুনভাবে জেগে ওঠার র্যালি।’
তিনি বলেন, ‘৭১-এর প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকাবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে, আমরা এমন সময় এই বিজয় র্যালি করছি। তাই এই র্যালি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল—আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাবো। আমরা কথা বলার অধিকার পাবো, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাবো। কিন্তু এই সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এ দেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার চেপে বসে আছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার আমাদের অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’ এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে দুপুর ২টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটিঙ্গেল মোড়, অন্যদিকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণয় ভরে যায়।
বিজয় র্যালিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান’, ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / সিএফ