মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়তে ইলিশসহ পদ্মার তাজা মাছের সমারোহ। প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই হাঁকডাকে বিক্রি হয় টনে টনে মাছ। খুচরা মাছ বিক্রেতাসহ নানা এলাকা থেকে সৌখিন ক্রেতারা এখানে মাছ কিনতে আসেন।
দেশসেরা ভোরের এই ইলিশের হাটে ক্রেতাদের আকর্ষণ পদ্মার ইলিশ। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
পদ্মাতীরে মাছ ভর্তি সমানে জেলে নৌকা। কুয়াশায় ঢাকা পূর্ব আকাশে সূর্যের দেখা নেই। কনকনে শীতের মধ্যে জেলেরা মাছ নিয়ে আসছেন আরতে। ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভিড়।
পদ্মা সেতুতে পর্যটকদের ভিরের কারণে নিরাপত্তা কর্মীরা নদী থেকে আড়তের পথটি কেটে দেওয়ায় টনে টনে মাছ নিয়ে আড়তে প্রবেশে সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘ দিনেও আড়তটি আধুনিকায়ন হয়নি।
মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি ছানা রজ্ঞন দাস বলছেন, অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন এই আড়তে এখন সহস্রাধিক মানুষের রুটি রুজি। মৎস্যভিত্তিক অর্থনীতি বাড়ছে। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে প্রায় কোটি টাকার মাছ।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে মাওয়া মৎস আড়তে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি বড় ইলিশ ৯৫০-১০০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৪৫০-৮০০ টাকা, কই ১৫০- ১৬০ টাকা, শিং ২০০-২২০ টাকা, মাগুর ৩৮০-৪৫০ টাকা, চিতল ২৮০-৭০০ টাকা, পুকুরের রুই ২৫০-২৭০ টাকা, নদীর রুই ৫০০-১০০০ টাকা, কার্ফু ১০০-১২০ টাকা, মিরকা ১০০-১৩০ টাকা, কালিবাউস ২০০-২২০ টাকা, চিংড়ি ৪০০-৭০০ টাকা, পাবদা ২৮০-৩০০ টাকা, আইড় ৫০০-৮০০ টাকা, বাঘা আইড় ৪০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৮০০ টাকা, সরপুটি ১০০-১২০ টাকা, নলা ১২০-১৪০ টাকা, কাচকি ২২০-২৫০ টাকা, মেনি ৩৫০-৪০০ টাকা, পুটি ১৫০-১৭০ টাকা, সিলভার কাপ ৭০-১০০টাকা, গ্লাস কাপ ১২০-১৫০ টাকা, কোরাল ৪০০-৬৫০ টাকা, ফলি মাছ ২৫০-২৮০ টাকা, পোয়া ১৮০-৩৫০ টাকা, বাইল্লা ১৪০-৩৫০ টাকা, বাইন ৪০০-৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ১১০-১৩০ টাকা, নদীর পাঙাশ ৯৫০-১০৫০ টাকা, কাতল ১০০-১২০ টাকা, নদীর কাতল ৭০০-১১০০ টাকা, তেলাপিয়া১০০-১১০ টাকা, টেংরা ২৫০-২৮০ টাকা, টাটকিনি ১৪০-১৫০ টাকা, সবুনখোরা পোনা ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে