ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘রাই’-র আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৫২ জন। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো চলছে উদ্ধার কাজ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর অঞ্চলটিতে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। প্লাবিত হয় বহু গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। টাইফুনের আঘাতে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসব সবকিছুই বিধ্বস্ত হয়েছে। বাড়িঘর ও সৈকতের রিসোর্টগুলো থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রডারিক অ্যালবা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২০৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫২ জন। তিনি আরও বলেন দুযোর্গকবলিত এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে পুলিশ।
দুর্যোগকবলিত এলাকায় এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন পুলিশের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কয়েক হাজার সংশ্লিষ্ট সদস্য উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, সুপার টাইফুন রাই ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। টাইফুনে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বোহোল রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেই মারা গেছেন ৪৯ জন। ঘূর্ণিঝড় রাই-র আঘাতে চার লাখ ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দেশটিতে।
এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তেতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪০ কোটি মিলিয়ন ডলার ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাইয়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি ফিলিপাইনের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় দেশটিতে ২০১৩ সালে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান। হাইয়ানকে ফিলিপাইনে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় মনে করা হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিলেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
নদী বন্দর / বিএফ