দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কারখানার মাটি ও আশপাশের জমির ঘাস ও খড়ের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত সিসার কারণে গরুর মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে ঢাকার চিফ সায়েন্টিফিক অফিসারের কার্যালয় টেকনোলজি অ্যান্ড জুরিসপ্রুডেন্স অনুবিভাগের ডা. রামমোহন অধিকারীর স্বাক্ষরিত রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে মাত্রাতিরিক্ত সিসার কারণে গরুর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গবাদি পশুকে খড়-ঘাস খাওয়াতেও ভয় পাচ্ছেন খামারিরা।
আবার খড় মজুদ করতে না পারলে গোখাদ্য নিয়ে সংকটে পড়তে হবে এলাকার কৃষক ও খামারিদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় কেন্দ্রীয় রোগ তদন্ত পরীক্ষাগারে (Central Disease Investigation Laboratory (CDIL) নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট গত রোববার হাতে পেয়েছি। যাতে দেখা গেছে ফুলবাড়ী উপজেলার পাকড়ডাঙ্গার ব্যাটারি কারখানার মাটি এবং আশপাশের জমির ঘাসে ৩০ হাজার পিপিবি, খড়ে ৩০ হাজার পিপিবি এবং মাটিতে ৫ পিপিবি সিসা পাওয়া গেছে। যার সহনীয় মাত্রা ১০ মিলি। যে পরিমাণ পাওয়া গেছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
সরেজমিনে পাকড়ডাঙ্গার ব্যাটারি কারখানা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটারি কারখানার তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাঠের পাকা ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে। কৃষকরা ভয়ে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন না। আবার যারা নিয়ে গেছেন তারা খড় গবাদিপশুর নাগালের বাইরে রাখছেন, যাতে গবাদি পশু ওই খড় ও ধান না খায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিরা বলেন, আমন ধানের খড় দিয়ে গবাদিপশুর এক বছরের খাবার জোগাড় হয়ে থাকে। এখন খড়ে বিষক্রিয়া হওয়ায় আমাদের কপাল পুড়েছে। কী করে তারা সামনের এক বছর গবাদিপশুকে খাওয়াবেন? মাঠের কতদূর পর্যন্ত এই বিষক্রিয়া ছড়ি পড়েছে তা গবেষণা করে বের করার অনুরোধ জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ওই এলাকার সিসাযুক্ত খড়গুলো পুড়িয়ে ফেলা হবে এবং বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
নদী বন্দর / এমকে