২০২২ সালে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মধ্যে সর্বোচ্চ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। দ্য বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা মহামারিতে কয়েক মাস আগেও দেশটির অর্থনীতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এমন কোনো আর্থিকখাত নেই যেখানে করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। টানা লকডাউনে দেশটির অর্থনীতিতে নেমে এসেছিল অচলাবস্থা। এডিবির প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০২২ সালে ভিয়েতনামে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। যা একটি দেশের জন্য খুবই আনন্দের।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা সবখাতের ওপর সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে না। গত কয়েক মাসের মধ্যে অনেকগুলোখাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তবে অন্যান্য অনেকখাত আছে যারা ২০২২ সালের মধ্যেও ভালোভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে পারবে না। এমনকি ২০২৩ সালেও তাদের সংগ্রাম করতে হবে।
এর আগে এডিবির প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে পাঁচ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। যা তাদের আগের অনুমান থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। এর আগে সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটি পূর্বাভাস দিয়েছিল এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক এক শতাংশ হবে। এপ্রিলে এই হার ছিল সাত দশমিক তিন শতাংশ। করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে তখন এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ অর্থাৎ ওমিক্রন এ অঞ্চলের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া চীনের আবাসন ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি সংকট, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ সমস্যা অর্থনীতির জন্য হুমকি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি কমবে শূন্য দশমিক এক শতাংশ। তবে আগামী বছর এটি বেড়ে হবে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ।