ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওমিক্রনের ঢেউ শুরু হয়েছে। করোনার নতুন এই ধরন নিয়ে সারা বিশ্বেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বের অনেক দেশেই এর উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
তবে এখনই হয়তো এ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু প্রাথমিক গবেষণা বলছে, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন কিছুটা কম গুরুতর।
প্রাথমিক কিছু গবেষণা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। ৩০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তবে ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কম গুরুতর হলেও অতি সংক্রামক হওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে একদিনেই এক লাখের বেশি কেস শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা নিয়ে একটি গবেষণা করেছে স্কটল্যান্ড। তারা বলছে, ওমিক্রন যদি ডেল্টার মতো আচরণ করতো তবে হয়তো প্রতি ১০০ জনে ৪৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা মাত্র ১৫।
গবেষকরা বলেছেন যে, তারা হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমতে দেখেছেন।
পাবলিক হেলথ স্কটল্যান্ডের পরিচালক ডা. জিম ম্যাকমেনামিন এই বিষয়টিকে ‘উপযুক্ত সুসংবাদের গল্প হিসেবে’ উল্লেখ করেছেন।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি গবেষণায় ওমিক্রনের ঢেউ মৃদু হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, লোকজনের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কম।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের মিউটেশন একে ডেল্টার চেয়ে কম গুরুতর ভাইরাসে পরিণত করেছে।
নদী বন্দর / সিএফ