1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
যেভাবে পোলাও পাতা চাষ করবেন - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩০ বার পঠিত

আমাদের দেশের অনেক এলাকায় পোলাও পাতার গাছ দেখা যায়। এটি মূলত কোনো রকম যত্ন ছাড়াই বাগানে কিংবা বড়ির আশপাশে বেড়ে ওঠে। এক প্রকার বিনা চাষে ও যত্নেই বেড়ে ওঠে। তবে এটির চারা এখন দেশের বিভিন্ন নার্সারিতে বিক্রি হচ্ছে। চাষের জন্য মানুষ আগ্রহ নিয়ে কিনছেন। শহরে এটি ছাদে চাষ হচ্ছে।

পোলাও পাতার গাছের আকৃতি ও পাতার চেহারা দেখতে অনেকটা কেয়া গাছের মতো। তবে কেয়া গাছের মতো বড় হয় না। ছোট ঝোপালো প্রকৃতির গাছ। গাছ বহুবর্ষজীবী, একবার লাগালে বাঁচে অনেক দিন। আনারস গাছের মতো মোথা থেকে চারদিকে কিছুটা খাড়াভাবে তলোয়ারের মতো পাতা বাড়তে থাকে। পাতার দৈর্ঘ ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ৩-৪ সেন্টিমিটার।

পাতা চকচকে সবুজ, পুরু চামড়ার মতো, একটু শক্ত, পাতার কিনারা মসৃণ। অগ্রভাগ সুঁচালো। এ গাছের পাতায় পোলাওয়ের মতো গন্ধ আছে বলেই এর নাম পোলাও পাতা গাছ। এই সুগন্ধি দিয়ে খাদ্যদ্রব্য সুরভিত করতেই পোলাও পাতা গাছ ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে সুগন্ধবিহীন সাধারণ চাল দিয়ে ভাত রান্নার সময় এই পাতা ব্যবহারে সেসব ভাতেও পোলাওয়ের ঘ্রাণ আসে। ভাত রেঁধে মাড় ফেলে দেয়ার পর তাতে পোলাও পাতা মিশানো হয়।

পোলাও পাতা ৩-৪ সেন্টিমিটার টুকরো টুকরো করে কেটে গরম ভাতের স্তরে স্তরে বিছিয়ে দেয়া হয়। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিলে ভাতে সুঘ্রাণ আসে। খাওয়ার সময় সেই ভাত থেকে পোলাওয়ের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, ভাত খেতে তৃপ্তি আসে। তবে চা বানানোর জন্য চায়ের পানি ফুটে এলে তার ভেতর পোলাও পাতার কয়েকটা টুকরো ছেড়ে দেয়া হয়।

তারপর সেই পানি ছেঁকে চায়ের মতো খেলে সেই চা থেকেও পোলাওয়ের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। একইভাবে বিভিন্ন রকম স্যুপ, জাউভাত, ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি সুগন্ধযুক্ত করতে পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়।

গাছের কাণ্ডের গিঁট থেকে কুশির মতো চারা বের হয়। এসব চারা লাগিয়ে নতুন গাছ জন্মানো যায়। চাষের জন্য প্রথমে গাছ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই গাছ লাগিয়ে বড় করতে হবে। বড় হলে তার কাণ্ডের চার পাশ থেকে তেউড় বা চারা বের হবে।

সেসব চারা গাছ থেকে কেটে আলাদা করে বীজতলায় পুঁতে পানি দিলে কয়েক দিনের মধ্যেই তার গোড়া থেকে শিকড় বের হবে। সেসব চারা সরাসরি জমিতে লাগানো যেতে পারে অথবা বাড়ির আঙিনায় ঝোপ করার জন্য এক জায়গায় কয়েকটা গাছ লাগানো যেতে পারে।

লাগানোর পর কয়েকদিন সেচ দেয়া ছাড়া আর বিশেষ কোনো যত্নের দরকার হয় না। আধোছায়া ও রোদেলা জায়গায় ভালো জন্মে। কোনো প্রকার সার দেয়ার দরকার নেই। তবে লাগানোর সময় মাটির সাথে বেশি করে জৈবসার মিশিয়ে দিলে পরে গাছের চেহারা ও বৃদ্ধি ভালো হয়।

বছরের যেকোনো সময় গাছ থেকে পাতা তোলা যায়। তোলার সময় গোড়ার দিকের বয়স্ক পাতা তোলাই ভালো, না হলে সেগুলো পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। গাছ যেমন কষ্ট সইতে পারে তেমনি বাড়েও ভালো।

নদী বন্দর / সিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com