রংপুরে দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতে স্থবির হয়ে পড়ছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরের পর হালকা রোদের দেখা মিললেও রাতে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে বাড়িয়ে তুলছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানান, জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষজন। শীত নিবারণের জন্য বেড়েছে লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।
নগরীর হাড়িপট্টি এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, ‘বুধবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২-৩ দিন আগ থেকে শীতের তীব্রতা অনুভব করছে মানুষ।’
মুন্সিপাড়া মহল্লার পান দোকানি সুমন জানান, ‘শীতের কারণে দোকানে লোকজনের সমাগম কমে এসেছে। দোকানের আয় দিয়ে সংসারের খরচ বহন করতে হয় বলেই এ শীতে বাধ্য তাকে দোকান খুলতে হয়েছে।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩ দশমিক ২ মিলিমিটার। ওই সময় রংপুরে রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
তিনি আরও জানান, ‘দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকলেও রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে। বৃষ্টির প্রভাবে আজ দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে এবং আগামীকাল শুক্রবার দুপুর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে রোদের দেখা মিলতে পারে।’
নদী বন্দর / বিএফ