1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
গ্যাসের সন্ধানে শরীয়তপুরে চলছে কূপ খনন - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৬০ বার পঠিত

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গ্যাসের পরিমাণ অনুসন্ধান করতে একটি কূপ খনন করা হচ্ছে। কূপ খননের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। অনুসন্ধান সফল হলে ওই স্থানে গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র (প্ল্যান্ট) স্থাপন করা হবে।

বাপেক্স ও শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেঘনা নদীর তীরে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি থেকে খুলনা পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন সমীক্ষা (টুডি সিসমিক জরিপ) করা হয়। ওই জরিপে নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে সন্ধান মেলে প্রাকৃতিক গ্যাসের। শুরু হয় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তৈরি করা হয় ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প। দেড় বছর মেয়াদি ‘শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১’ নামের প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে গত বছর জুলাই মাসে। চলবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অনুসন্ধান কূপ খনন করার জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৬ দশমিক ৪৯ একর জমির হুকুম দখল নেওয়া হয়েছে। ওই জমিতে থাকা ফসলের দুই বছরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

দিনারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ একর জমিতে টাঙানো হয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের নিশানা। ফসলি জমির চারদিক পাইলিং করে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়া কাজের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক ও কালভার্ট। গ্যাসের খবরে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।

দিনারা গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, আমার ৬৬ শতাংশ জমি হুকুম দখল করা হয়েছে। নিজের বাপ-দাদার জমি গেলেও গ্যাস অনুসন্ধান করার খবরে উচ্ছ্বসিত আমি। তাই জমি হারালেও আমার কোনো ক্ষোভ নেই। পদ্মা সেতুতে দেখছি নতুন নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। আর গ্যাসের অনুসন্ধানে সফলতা মিললে নির্মাণ হবে কলকারখানা।

বাপেক্সের মহাপরিচালক ও শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তোফায়েল উদ্দিন সিকদার বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যেই এখানে কূপ খনন করা হচ্ছে। কূপ থেকে পাওয়া গ্যাসের ডিএসটি টেস্ট করা হবে। ওই টেস্ট ও অনুসন্ধান সফল হলে গ্যাসের মজুতের অবস্থা বোঝা যাবে। যদি সবকিছু অনুকূলে থাকে, তাহলে গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র (প্ল্যান্ট) স্থাপন করা হবে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান করতে দুই বছরের জন্য ৬ দশমিক ৪৯ একর জমির হুকুম দখল নেওয়া হয়েছে। দুই বছরের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা জমির মালিকদের দেওয়া হবে। যদি এর মজুত বেশি থাকে তাহলেই বাপেক্স উৎপাদন ক্ষেত্র স্থাপন করবে। তখন এই অঞ্চলে শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এলাকা পাবে নগরায়ণের ছোঁয়া, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান।

নদী বন্দর / বিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com