ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে আরও ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে ওই অঞ্চলে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে এসব তথ্য।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির ন্যাশনাল রেসকিউ সার্ভিসের মুখপাত্র মোজতবা খালেদি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন। বন্যার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন আরও ১৪ জন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
ইরানের রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধার ও জরুরি অপারেশন বিভাগের প্রধান মেহেদি ভ্যালিপুর জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ২০ হাজারের মতো মানুষ ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বন্যায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে অন্তত পাঁচশটি উদ্ধারকারী টিম।
ইরানের ৩১টি রাজ্যের ৮৭টি শহরে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আহমদ ওয়াহিদী ফার্স, হরমোজগান, কেরমান, সিস্তান ও বেলুচেস্তানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানকে সিস্তা, বেলুচেস্তান এবং হরমোজগান প্রদেশের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকতে পারে।
২০১৯ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ গেছে ৭৬ জনের এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল দুই বিলিয়নেরও বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে খরা ও বন্যার কবলে পড়ছে দেশটি। এতে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ইরানের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা
নদী বন্দর / বিএফ