ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের প্রায় ৫ কিলোমিটার ও গোয়ালন্দ মোড়ের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল দেখা যায়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ও শীতের তীব্রতায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। শীত নিবারণের জন্য যাত্রীদের আগুনের উষ্ণতা নিতেও দেখা যায়। সিরিয়ালে থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
ঢাকামুখী গোল্ডেন লাইনের যাত্রী আব্দুল জব্বার বলেন, রাতে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে আটকা পড়েন। এখনও ফেরির নাগাল পাননি। শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়ার কষ্ট হচ্ছে।
সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা মামুন পরিবহনের যাত্রী খাদিজা সুলতানা সাথী বলেন, তিনি তার ৯ বছরের সন্তান নিয়ে সাভারের নবীনগর এলাকায় যাচ্ছেন। গতকাল বিকেলে বাসা থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু সকাল হয়ে গেলেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। এখনও প্রচুর কুয়াশা। কখন ফেরি ছাড়বে, আর কখন বাসায় পৌঁছাবেন তা বলতে পারছেন না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. জামাল উদ্দিন জানান, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়ায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে। ফেরি চালু হলে সিরিয়াল দ্রুত কমে যাবে। বর্তমানে এরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
নদী বন্দর / এমকে