কৃষির উপর নির্ভরশীল দেশের উত্তরের জেলা জয়পুরহাট। এখানে মোট কৃষি জমির ৮০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষকরা। জয়পুরহাটের ৫টি উপজেলার মধ্যে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবিতে অল্প পরিমাণে গমের আবাদ হয়।
আলু তোলার পর মাঠে ইরি-বোরো আবাদে প্রচুর পানি থাকায় গমের আবাদের অসুবিধা হয়। এজন্য গমের আবাদ কম হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাটির গুণাগুণে জয়পুরহাটের মাটি বেলে দোঁ-আশ হওয়ায় গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। জেলায় চলতি ২০২১-২২ রবি মৌসুমে ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৭ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন গম।
চলতি রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ২০ কেজি গম, সঙ্গে সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী গ্রামের কৃষক সজীব আহম্মেদ, পাঁচবিবি উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের মাহমুদ হোসেন জানান, ধানের জমির মাঝে গম আবাদে অসুবিধা হয়। তবে উচুঁ জমিগুলোতে প্রতি বছরই আমরা গম আবাদ করি। এই উপলক্ষে সরকার থেকে আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, কৃষকদের মাঝে গম চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ উপলক্ষে চলতি মৌসুমে গম চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় জেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নদী বন্দর / বিএফ