আন্তর্জাতিকভাবে ৭ জানুয়ারিকে ‘ফেলানী দিবস’ পালনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি করা হয়।
কর্মসূচি থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং আধিপত্যবাদী আগ্রাসন রোধের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু সে সময়ে সীমান্ত হত্যা ও পানির আগ্রাসন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার নীরব ভূমিকায় ছিল, এটি জাতির জন্য হতাশার।’
তারা আরও বলেন, ‘১ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী রাহিনী-বিএসএফ বাংলাদেশি হত্যা করে তাদের নতুন বছর উদযাপন করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং সীমান্তে বাংলাদেশি অসংখ্য নাগরিককে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। অথচ রাষ্ট্র, সরকার, তথাকথিত সিভিল সোসাইটি নিশ্চুপ, যা হতাশার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্তে হত্যা বাড়ছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও দিল্লির প্রতি আনুগত্যই সীমান্তে হত্যার মূল কারণ। বিবেকবানরা যখন চুপ থাকে, রাষ্ট্র তখন দায়িত্বহীন হয়ে পড়ে। সীমান্ত হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নির্লিপ্ত ও নিশ্চুপ থাকা সন্দেহজনক। এতে প্রমাণ হয় তারা এদেশে থেকে দিল্লির আনুগত্য করে। জাতিকে এখনই সজাগ হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে।’
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্যসচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ওবায়দুল হক, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, এনডিএম-এর সাংগঠনিক সম্পাদক পায়ন নরুজ্জামান হিরা, আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব শরীফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফুল হক প্রমুখ।