1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
৯ মাসে ৮ লাখ টাকার মাশরুম বিক্রি করেছেন সৌমিত্র - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২২৫ বার পঠিত

এলএলবি পাস করে ঢাকায় এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন সৌমিত্র মজুমদার শুভ। ২০১৯ সালের করোনাকালে তেমন একটা আয় না থাকায় এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। এলাকায় ফিরে খালার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন সৌমিত্র।

জেলায় এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন সৌমিত্র, বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১ হাজার খড়ের স্পন প্যাকেট। আর এ স্পন থেকে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুম বিক্রি করে মাসে আয় করছেন প্রায় লাখ টাকা। বর্তমানে এ যুবকের সাফল্যের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। তার চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হচ্ছেন এই পেশায়।

 

সৌমিত্র পটুয়াখালী পৌর শহরের দক্ষিণ কালিকাপুর এলাকার সুশান্ত মজুমদারের ছেলে। ২০১৭ সালে এলএলবি পাস করে ঢাকায় এক আইনজীবির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালের করোনাকালে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

বেশ কিছুদিন বেকার থাকার পর জার্মান প্রবাসী খালাতো বোনের পরামর্শে আগ্রহী হন মাশরুম চাষে। পরে সাভারের জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন সেন্টারে দুই মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ বছরের এপ্রিল মাসে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের খালার বাড়িতে ৫০টি স্পন প্যাকেট দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ।

 

ফলন ভালো হওয়ায় ওই বাড়ির ২০ শতাংশ জমিতে দুটি সেডের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মাশরুম খামার। বর্তমানে খামার থেকে প্রতিনিয়ত ১৫ কেজি করে মাশরুম পাচ্ছেন তিনি। তাতেও মেটাতে পারছেন না স্থানীয় চাহিদা। তবে সরকারি সহায়তা ও স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে এ খামার বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।

মাশরুম চাষি সৌমিত্র মজুমদার শুভ জানান, খড়, কাঠের গুঁড়া, গমের ভূষি, তুষ ও চুন দিয়ে আমরা নিজেরাই মাশুরুমের বীজ তৈরি করি। পরে বীজের সঙ্গে জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন সেন্টার থেকে আনা টিস্যু কালচার যুক্ত করে সঠিক পরিচর্যা ও দিনে তিনবার পানি স্প্রের ২০ দিনের মাথায় শুরু হয় ফলন। এ কাজে তেমন একটা পরিশ্রম নেই।

 

সৌমিত্রর খালাতো ভাই জীবন বিশ্বাস জানান, মাশরুম চাষে আগ্রহী হওয়ার পরই শুভকে আমাদের পরিত্যক্ত জমিতে খামার গড়ে তুলতে বলি। শুভ ২০ শতাংশ জমির উপর দুইটি সেড তৈরি করে মাশরুম চাষ করছে। দেখে বেশ ভালোই লাগছে।

প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ কেজির মতো অর্ডার আসে। তবে বেশির ভাগ অর্ডার অনলাইনেই আসে। খামার আরো বড় করতে পারলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার আশা তার। এতে প্রয়োজন কৃষি ঋণ কিংবা সরকারি সহযোগিতা। গত নয় মাসে সৌমিত্র ৮ লাখ টাকার মাশরুম বিক্রি করেছেন।

 

মাশরুম চাষি সৌমিত্রর জার্মানি প্রবাসী খালাতো বোন রত্না বিশ্বাস জানান, বিদেশে প্রতিদিন সবাই মাশরুম খেয়ে থাকেন। এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তবে এদেশের মানুষ মাশরুমের গুণ সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। সৌমিত্র যখন বেকার দিন কাটাচ্ছিল তখন ওকে মাশরুম চাষের পরামর্শ দিয়েছিলাম। দেশে এসে দেখলাম ও ভালোই খামার করেছে। এবং অনেক টাকা আয় করছে। ওকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।

 

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, মাশরুম চাষ একটি লাভজনক পেশা। এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। মাশরুম চাষি শুভকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া এই এলাকার কোনো যুবক মাশরুম চাষে আগ্রহী হলে তাকে সকল ধরনের সহযোহিতা করা হবে। আমরা চাই কলাপাড়ায় মাশরুম চাষের বিপ্লব ঘটুক। সৌমিত্র যেভাবে সাড়া ফেলেছে তাতে খুব শিগগিরই আরো চাষি বাড়বে বলে আসা করতে পারি।

নদী বন্দর / সিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com