নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, তানিম, আব্দুল্লাহ ও শামসুদ্দিন। এর আগের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাসফিয়া। তার সন্ধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
ভেসে ওঠা মরদেহের মধ্যে রয়েছে ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫), তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০) এবং ছেলে তামিম (৮), ফতুল্লার চর বক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০), আব্দুল্লাহ ও শামসুদ্দিন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু তাসফিয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেফতার মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।