সাংবাদিকতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মিজানুর রহমান খান। একজন পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক হতে গেলে যা লাগে, তার মধ্যে সবকিছুই ছিল। তিনি ছিলেন দেশের সম্পদ।
মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কথা বলেন স্মরণসভায় বক্তারা।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা অজানা তথ্য তার অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ ছিলেন। তিনি এখন আর আমাদের মধ্যে নেই, তবুও আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমাদের মধ্যে একজন মিজানুর রহমান খান ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, এ ক্ষণজন্মা পুরুষ তার কর্মজীবনে দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অপরিসীম ধৈর্য ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যেমে পদচিহ্ন রেখে গেছেন। সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার কারণে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মানুষের মধ্যে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
স্মরণসভার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাইদ খান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
নদী বন্দর / এমকে