ভারতের প্রস্তাবে তাদের প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে চাল আমদানির কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অপরদিকে, বাংলাদেশে খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত চাল রফতানি করবে বলে জানান ভারতীয় হাইকমিশনার। এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হবে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এসময় দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
জি টু জি এবং উন্মুক্ত দর পদ্ধতির মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি যাতে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়, সেজন্য ভারতের ভেতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোর্টের সকল সুবিধা প্রদানের নিশ্চয়তা দেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এছাড়াও খাদ্য পণ্যের মান উন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্য, টেস্টিং ল্যাবরেটরি, চলমান খাদ্য গুদাম নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত পুরাতন বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা দিন দিন আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হয়।
চলমান করোনা মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূয়শী প্রশংসা করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
এসময় বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই এই কোভিড মহামারির সময়ও দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। বৈঠকে ভবিষ্যতেও দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
সাক্ষাৎকালে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে