পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন। কিন্তু যারা এসব উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাচ্ছেন, তারা নিয়ম মেনে কাজ করছেন না। তারা পরিবেশও নষ্ট করেন, নানাভাবে দুর্নীতিও করেন।’
রোববার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেকের হাতেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্রত্যেকেই যদি নিজের লাগাম টানি, তাহলেই পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাবো।’
সুন্দরবন রক্ষার আহ্বান জানিয়ে হাবিবুন নাহার বলেন, উন্নত দেশগুলোতে বনে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘ গণনা করা হয়। আমাদেরও তেমন পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের ফাইল আটকে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ফাইলটা আটকে দিয়ে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল- ‘বাঘ গণনা করে কী হবে? যে দেশে বাঘ নেই, তারা কি বাঁচেন না?’। দেশের শিক্ষিত মানুষের এই হলো দশা।
মানুষ পরিবেশ বিষয়ে অনেক সচেতন হচ্ছেন উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় যেখা যেতো, মানুষ ড্রইংরুমে লাখ লাখ টাকার সাজানো জিনিস রাখতো। এখন কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। এখন দেখা যায়, বেলকনিতে লাখ লাখ টাকার গাছ। ছাদ বাগানে গাছ লাগিয়ে অনেকেই তা বিক্রি করে স্বাবলম্বীও হচ্ছেন।
পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চিফ মেন্টর ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব আর্টসের ডিন প্রফেসর ড. মো. ওসমান গণি, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, আর এফ এল গ্রুপের টেল প্লাস্টিকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল ওদুদ প্রমুখ।